ঘরে বসেই রক্তদান করুন : রক্ত সংগ্ৰহে অভিনব উদ‍্যোগ পাল্লারোড পল্লীমঙ্গল সমিতির

27th April 2020 বর্ধমান
ঘরে বসেই রক্তদান করুন : রক্ত সংগ্ৰহে অভিনব উদ‍্যোগ পাল্লারোড পল্লীমঙ্গল সমিতির


নিজস্ব সংবাদদাতা ( বর্ধমান ) : লকডাউনে রক্তের আকাল চারিদিকে , করোনার কারণে ক্যাম্প না হওয়া বা ব্লাডব্যাঙ্কে গিয়ে রক্তদান এখন অনেকটাই সীমিত ! এইবার "ঘরে থেকেই রক্তদান" , অভিনব উদ্যোগ নিল পূূর্ব বর্ধমানের মেমারীর পাল্লারোড পল্লিমঙ্গল সমিতি । আপনি রক্ত দিতে যান , লকডাউনে ঘর থেকে বেরুবার দরকার নেই । মেডিকেল টিম পৌছে যাবে আপনার বাড়ি সংগ্রহ করবে রক্ত । পূর্ব বর্ধমান জেলায় এই প্রথম বার এ ধরণের উদ্যোগ নিল পল্লিমঙ্গল সমিতি । গায়ক সিধুদার উদ্যোগে ভরুকা ব্লাড ব্যাংকের সহযোগিতায় "LUSD" গ্রুপের ব্যবস্থাপনায় ঘরে বসেই রক্তদানের ব্যবস্থা করছে পল্লিমঙ্গল সমিতি । আজ সোমবার থেকে এই কর্মসূচির শুভ সূচনা হল ।পল্লিমঙ্গল  সমিতির তরফে জানানো হয় "রক্তদান শিবিরের ভিড় এড়াতে একক বাড়ি থেকে রক্তদান করার ব্যবস্থা । রক্ত দেওয়ার জন্য নাম জমা দিতে পারেন ৯০৬৪৯৯৩১৩৬ এই নাম্বারে ফোন করে ।  ভ্রাম্যমান রক্তসংগ্রহের মেডিকেল টিম ও গাড়ি পৌছে যাবে আপনার বাড়ি সমস্তরকম নিয়ম মেনে সংগ্রহ করবে রক্ত " এই প্রচেষ্ঠার উদ্বোধনের দিন রক্ত দিয়ে আপ্লুত ও সাধুবাদ জানিয়েজেন রোহিত দাসগুপ্ত, শুভেন্দু চক্রবর্তীর মতন রক্তদাতা রা , তারা জানান বাড়িতে থেকেও যে রক্তদান করা যায় তা পল্লিমঙ্গল পথ দেখাল , পল্লিমঙ্গল সমিতির সম্পাদক সন্দীপন সরকার জানান আজ ৪২জন রক্তদাতার বাড়ি থেকে রক্ত সংগ্রহ করা হয় , বড়শুল পাল্লা ক্যাম্প পাল্লা রোড রসুলপুর  কলানবগ্রাম এলাকার মানুষ আজ রক্ত দেয় ।





Others News

MEMARI . একবছর আগে আবেদন করেও মেলেনি জাতিগত শংসাপত্র : হন‍্যে হয়ে ঘুরছেন মা

MEMARI . একবছর আগে আবেদন করেও মেলেনি জাতিগত শংসাপত্র : হন‍্যে হয়ে ঘুরছেন মা


প্রদীপ চট্টোপাধ্যায় ( বর্ধমান ) : প্রায় এক বছর আগে আবেদন করেও মেয়ের জাতিগত শংসাপত্র মেলেনি । আবেদনকারীদের জাতি শংসাপত্র দেওয়ার
ক্ষেত্রে দেরি করা যাবেনা বলে জানিয়ে দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী।কিন্তু বাস্তবে ঠিক তার উল্টোটাই ঘটে চলেছে।প্রায় এক বছর আগে  চতুর্থ শ্রেণীতে পাঠরত মেয়ের ওবিসি শংসাপত্র পাওয়ার জন্য নির্দিষ্ট নিয়ম মেনে  আবেদন করেছিলেন মা।কিন্তু মেয়ে কে পঞ্চম শ্রেণীতে ভর্তির সময় এগিয়ে আসলেও জাতি  শংসাপত্র আজও না মেলায় কার্যত হতাশ হয়ে পড়েছেন পূর্ব বর্ধমানের মেমারির রাধাকান্তপুর নিবাসী ঊর্মিলা দাস।ওবিসি শংসাপত্র পাবার জন্য ঊর্মিলাদেবী বৃহস্পতি বার মেমারি ১ ব্লক বিডিও অফিসে লিখিত ভাবে আবেদন জানিয়েছেন। শংসাপত্র পাবার জন্য বিডিও সাহেব কি ব্যবস্থা করেন সেদিকেই এখন তাকিয়ে ঊর্মিলাদেবী। 

বিডিওকে লিখিত আবেদনে ঊর্মিলাদেবী জানিয়েছেন ,তাঁর স্বামী মানিক দাস দৃষ্টিহীন প্রতিবন্ধী ।বছর ১০ বয়সী তাঁদের একমাত্র কন্যা গ্রামের বিদ্যালয়ে চতুর্থ শ্রেণীতে পাঠরত কালে তাঁর ওবিসি শংসাপত্র পাবার জন্য তিনি নির্দিষ্ট নিয়ম মেনে চলতি বছরের ২৪ জানুয়ারী আবেদন করেছিলেন।  উর্মিলাদেবী বলেন ,তার পর থেকে দীর্ঘ সময় পেরিয়ে  গেলেও তিনি তাঁর মেয়ের ওবিসি শংসাপত্র পান না।মেয়ের পঞ্চম শ্রেণীতে ভর্তির সময় এগিয়ে আসায় গত অক্টোবর মাসের শেষের দিকে তিনি শংসাপত্রের বিষয়ে মেমারি ১ ব্লকের বিডিও অফিসে খোঁজ নিতে যান।জাতি শংসাপত্র বিষয়ের বায়িত্বে থাকা বিডিও অফিসের আধিকারিক তাঁকে অনলাইনে এই সংক্রান্ত একটি নথি বের করে আনতে বলেন । অনলাইনে সেই নথি বের করেনিয়ে তিনি ফের ওই আধিকারিকের কাছে যান । তা দেখার পর ওই আধিকারিক তাঁকে  ২০ দিন বাদে আসতে বলেন । ঊর্মিলাদেবী বলেন , তিনি ২৫ দিন বাদে যাবার পর ওই আধিকারিক তাঁকে গোপগন্তার ২ গ্রাম পঞ্চায়েতে গিয়ে খোঁজ নেবার কথা বলেন । তিনি এরপর গ্রামপঞ্চায়েত অফিসে খোঁজ নিতে যান । নথি ঘেঁটে পঞ্চায়েত কর্তৃপক্ষ জানিয়ে দেয় তাঁর মেয়ের নামে কোন ওবিসি শংসাপত্র পঞ্চায়েতে আসে নি।ঊর্মিলাদেবী দাবী করেন ,এই ভাবে তিনি একবার বিডিও অফিস , আবার পঞ্চায়েত অফিসে দরবার করে চলেন । কিন্তু তাতে কাজের কাজ কিছু হয় না। মেয়ের ওবিসি শংসাপত্র পাবার জন্য  গত ১৩ ডিসেম্বর ফের তিনি বিডিও অফিসে যান ।ওই দিনও বিডিও অফিসের জাতি শংসাপত্র বিষয়ক বিভাগের আধিকারিক তাঁকে একই ভাবে পঞ্চায়েত অফিসে খোঁজ নিতে যেতে বলে দায় সারেন। পরদিন তিনি পঞ্চায়েত অফিসে খোঁজ নিতে গেলে পঞ্চায়েত কর্তৃপক্ষ ফের জানিয়ে দেয় তাঁর মেয়ের নামে  ওবিসি শংসাপত্র পঞ্চায়েতে আসে নি । কেন মেয়ের জাতি শংসাপত্র পাচ্ছেন না সেই বিষয়ে  না পঞ্চায়েত না ব্লক প্রশাসনের কর্তৃপক্ষ কেউই তাঁকে কিছু জানাতে পারেন । ঊর্মিলাদেবী বলেন ,পঞ্চম শ্রেণিতে ভর্তির আগে তার মেয়ে যাতে ওবিসি শংসাপত্র পেয়ে যায় তার ব্যবস্থা করার জন্য এদিন তিনি বিডিওর কাছে লিখিত ভাবে আবেদন জানিয়েছেন । মেমারী ১ ব্লকের বিডিও আলী মহম্মদ ওলি উল্লাহ এদিন বলেন ,“জাতি শংসাপত্র পাবার জন্য হাজার হাজার আবেদন জমা পড়ছে । তবে ঊর্মিলাদেবীর কন্যা দ্রুত যাতে বিবিসি শংসাপত্র দ্রুথ পান সেই বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে “। মেমারির বিধায়ক মধুসূদন ভট্টাচার্য্য বলেন,’মেমারি  বিধানসভা এলাকার আবেদনকারীরা দ্রুত যাতে জাতি শংসাপত্র পান সেই বিষয়ে প্রশাসনকে আরও তৎপর হওয়ার কথা বলবো’।